ISO কি?
ISO হলো ক্যামেরার Exposure Triangle এর অন্যতম একটি প্যারামিটার। ISO Termটা Greek শব্দ ISO"S থেকে এসেছে যার অর্থ হলো Equal বা সমান। ISO আবার Define করে International Organization for Standardization কে যাদের কাজই হলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ের বা পন্যের একটা Standard Set করে দেয়া। এখন আপনার সরল মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে একটা অর্গানাইজেশনের সাথে ক্যামেরার ISO’র সম্পর্ক কি?
Trust Me Bro কোন সম্পর্ক নাই।
অর্থাৎ ক্যামেরার ISO’র পূর্নরুপ International Organization for Standardization হলেও ক্যামেরার ISO বলতে মূলত বুঝায় Image Sensitivity কে।
একটা নির্দিষ্ট পরিমান আলো ক্যামেরার ইমেজ সেন্সরে স্পর্শ করার পর ইমেজটি কতটুকু সংবেদনশীল হবে সেটি নির্নয় করার জন্যই মূলত ISO কে ব্যাবহার করা হয়। আমরা পূর্বের ব্লগে জেনে ছিলাম যে কিভাবে অ্যাপাচার ও শটার স্পীড দ্বারা ক্যামেরাতে প্রবেশ করা Light কে Physically Control কন্ট্রল করা হয়। কিন্তু ISO এর ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম অর্থাৎ ISO দ্বারা, ক্যামেরাতে প্রবেশ করা Light কে ডিজিটালি করা হয়।
ISO কীভাবে কাজ করে?
আলো প্রথমে রিফ্লেক্ট হয়ে অ্যাপাচার ও শাটার কে ক্রস করার পর ইমেজ সেন্সরে এসে হিট করে। এরপর সেন্সর সেটি ক্যাপচার করে মেমরিতে রেজিস্টার করে দেয়। তবে সেন্সরে আলো হিট করার পর সেটি যদি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রন করা না হয় তাহলে দেখা যাবে সেন্সরে কম আলো হিট করার জন্য ফ্রেম Under Exposed হয়ে যাবে আবার সেন্সরে যদি বেশি আলো হিট করে তবে Over Exposed হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য জন্য ক্যামারে একটি ডিজিটাল Mechanism দেয়া থাকে যাকে ISO বলা হয়। ISO ক্যমেরা সেন্সরে হিট করা লাইটের সংবেধনশীলতাকে ডিজিটালি নিয়ন্ত্রন করে। সোজা বাংলায় যদি বলি তাহলে ISO সাংখ্যিক স্কেল যেটার সাহায্যে ক্যামেরাতে প্রবেশ করা আলোর সংবেদনশীলতালে নিয়ন্ত্রন করা যায়।
ISO Range কত হয়ে থাকে?
স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ISO মান যত কমাতে থাকবেন আপনার ইমেজ সেন্সর ততো কম সেন্সিটিভ হবে ফলে আপনার ইমেজ ততো বেশি ডার্ক হবে। আবার আপনার ISO এর মান যত বাড়াতে থাকবেন ইমেজ সেন্সর ততো বেশি সেন্সিটিভ হবে ফলে আপনার ইমেজ ততো বেশি ব্রাইটার হবে। কাজেই আপনি আপনি যখন লো লাইটে শুট করবেন তখন ISO বাড়িয়ে দিয়ে ও আপনি যখন হাই লাইটে শুট করবেন তখন ISO কমিয়ে দিয়ে প্রপার এক্সপোজড ইমেজ পেতে পারেন রাইট?
........Not Really!
ISO বাড়ালে নয়েজ আসে কেন?
ISO কমিয়ে দিয়ে ফ্রেম এক্সপোজড করলে It's okay কোন সমস্যা নাই। তবে সমস্যাটা হলো আপনি যখন ISO বাড়িয়ে দিয়ে ফ্রেম এক্সপোজড করতে যাবেন। বাংলায় একটা প্রবাদ আছেনা কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। একই ভাবে আপনি যখন বেশি ISO নিতে চাইবেন তখন বিনিময়ে সেন্সরে Digital Noise Introduce হতে দিতে হবে। সাধারনত ISO বাড়ালে Sensor Sensitivity Amplified হওয়ার ফলে ইমেজে এক ধরনের ডিজিটাল নয়েস প্রডিউস হয়। যেগুলা দেখতে বাজে লাগে। যদিও ডিজিটাল নয়েজের ক্রিয়েটিভ ইউজ আছে সেগুলা সম্মন্ধে জানতে চাইলে আপনারা নিচে কমেন্টস করতে পারেন আমরা পরের কোন ব্লগে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। যাইহোক এই নয়েজের সমস্যা থেকে সমধান পেতে একামত্র সলুশন হচ্ছে Base ISO তে শুট করা।
Base/Native ISO কি?
আপনার ক্যামেরার যে মিনিমাম ISO Value দেয়া আছে সেটাকে মূলত Base ISO বা Native ISO বলে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম আছে যেমন Arri Alexa Mini এর মিনিমাম ISO Range 160 হলেও এর Base/Native ISO হলো ৮০০।
নেটিভ ISO তে শুট করলে ২টা এডভান্টেজ পাওয়া যায়:
১/ ডিজিটাক নয়েজ রিডিউজ করা যায়।
২/ ওয়াইড ডায়নামিক রেঞ্জ পাওয়া যায়।
ডায়নামিক রেঞ্জ ইমেজ ডিটেইলস লুজ করা ছাড়া ইমেজটি কতটুকু ডার্ক এন্ড ব্রাইট হবে তার লিমিটেশন মেজার করে দেয়। যেহেতু Base/Native ISO তে শুট করলে লার্জ ডায়নামিক রেঞ্জ পাওয়া যার ফলে ইমেজের ডিটেলস এবং কালার রেঞ্জস অনেক বেশি পাওয়া যায় যেটা ফিল্মমেকারদের জন্য এক্টা প্লাস পয়েন্ট। তাই Proper একটা ইমেজ পেতে আমাদের চেষ্টা করা উচিত Base/Native ISO তে শুট করা। যেহেতু লো লাইট সিচুয়েশনে বেশি লাইটের দরকার হয় তাই তখন ISO না বাড়িয়ে আর্টিফিসিয়াল লাইটের ব্যাবস্থা করাই ভালো। এরপরও যদি Enough Light এর ব্যাবস্থা না থাকে তখন আপনি চাইলে ISO একটু বাড়িয়ে Exposure Adjust করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন বেশি ISO Set করার ফলে যেন Noise না আসে।
ISO এর উপসংহার
তো এই ছিলো ফিল্মেকিং এর ক্ষেত্রে ISO এর প্রাথমিক সব বিষয় বস্তু। এই ওয়েব সাইটে সাধারনত ফিল্মেকিং রিলেটেড কন্টেন্ট আপলোড করা হয় তাই আপনি যদি ফিল্মেকিং সম্মন্ধে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের নিউজলেটার এ সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। এতক্ষন ধৈর্য ধরে পুরো ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
প্রতিনিয়ত ফিল্মেকিং কন্টেন্টের আপডেটপেতে আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো দিয়ে রাখুন
Click Here |
Tags:
Content